অক্টোবর ১৮, ২০২৪ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে, তালমিলিয়ে চলতে হবে

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এগিয়ে যাচ্ছে,, তালমিলিয়ে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা (১৩ সেপ্টেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মনে করি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেজন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্ত অপরিহার্য।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়া উপস্থাপনা অবলোকনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে, নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করব। কিন্তু এক্ষেত্রে সবসময় সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইতো না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেত না। এরকম একটি সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।

দীর্ঘদিন পর রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। আবার নতুনভাবে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসেই আমরা স্কুলের ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়েছে।

এ সময় করোনাকালে শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার প্রধান বলেন, করোনাকালে যখন সবকিছু স্থবির, তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থাটাকে আরও আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করা যায়। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে জীবন-জীবিকার পথটাও যেন খোলে। সেই বিষয়টির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এ কার্যক্রমগুলো করেছেন।

শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যেসব এলাকায় স্কুল ছিল না, সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি। আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। ছোট ছোট শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Email
Print

সম্পর্কিত

শুরু হলো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩

শুরু হলো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩

ঢাকা(০৭ অক্টোবর): টানা ৯ম বারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নাসা স্পেস অ্যাপস...

বগুড়া স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন

বগুড়া স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন

ঢাকা(২৫ জুন): আইসিটি বিভাগ থেকে আমরা স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করছি যাতে চাকুরী গ্রহীতা অর্থাৎ চাকুরী প্রার্থী এবং চাকুরী দাতার মধ্যে...

‘Meet Bangladesh’ওয়েবসাইট এবং হেল্পডেস্কের লঞ্চিং

‘Meet Bangladesh’ওয়েবসাইট এবং হেল্পডেস্কের লঞ্চিং

ঢাকা(১৯জুন): রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্য অর্জনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক এর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন "এক্সপোর্ট কম্পেটিটিভনেস ফর জবস (EC4I)"...

বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২৩ এ সেরা ৫২ স্টার্টআপ পেল ৬ কোটি টাকার অনুদান

বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২৩ এ সেরা ৫২ স্টার্টআপ পেল ৬ কোটি টাকার অনুদান

ঢাকা(১৭ জুন):আজ শনিবার তরুণ উদ্যোক্তা অর্থাৎ স্টার্টআপদের অনুপ্রাণিত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের...