ঢাকা (১৮ ডিসেম্বর):ইতিহাসের একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি। লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের প্রথমার্ধেই কাজটা অনেকখানি এগিয়ে রেখেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। পেনাল্টি থেকে মেসির পর লিড বাড়ানো গোল করেছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের বড় লিড রেখেই বিরতিতে গেছে আলবিসেলেস্তে দল।
জিতলেই শিরোপা—এমন সমীকরণের সামনে রোববার শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় আলবিসেলেস্তে দল। ৫৯ শতাংশ বল দখল নিয়ে তৈরি করে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ। ২১ মিনিটে ডি মারিয়াকে উসমানে ডেম্বেল করে বসলে নির্ভুল পেনাল্টি শটে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ৩৬ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের দুর্দান্ত পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান সেমিতে বেঞ্চে বসে থাকা ডি মারিয়া।
শিরোপার মঞ্চে তৃতীয় মিনিটেই সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডে পল বল নিয়ে তা জুলিয়ান আলভারেজের দিকে বাড়ান, তবে শট নেওয়ার আগে বল যায় লরিসের হাতে। মিনিট দুয়েক পর আলভারেজের থেকে বল নিয়ে দূরপাল্লার শট নেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। আট মিনিটে বল ফাঁকায় পেয়েও আকাশে উড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।
প্রথমার্ধে চাপে থাকা এমবাপেরা ২০ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ তৈরি করে। জিরুদের হেড যায় জালের অনেকখানি ওপর দিয়ে। ১১ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর কনুয়ের আঘাতে লরিস আহত হলে কিছুটা সময় বন্ধ থাকে খেলা।
খেলার ৩৬ মিনিটে মুহূর্মূহ আক্রমণের ফল পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে মেসির পায়ের জাদুতে বল নিয়ে এগিয়ে যায় অ্যালিস্টার। দুর্দান্ত দক্ষতায় বল পাঠান বামপাশে থাকা মারিয়ার কাছে। ‘ফাইনালম্যান’ ভুল করেননি, জোরালো শটে হুগো লরিসকে পরাস্ত করে মাতেন উদযাপনে। প্রথমার্ধে বড় ব্যবধানে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি-ডি মারিয়ারা।