২৩ জুলাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের বড় আয়োজন টোকিও অলিম্পিক্সের। এর আগে ২৪ মার্চ লস এঞ্জেলস থেকে শুরু হয়, অলিম্পিক টর্চ র্যালি। যা অলিম্পিকের অন্যতম সেরা ঐতিহ্য।
২৩ জুলাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের বড় আয়োজন টোকিও অলিম্পিকের । এর আগে ২৪ মার্চ লস এঞ্জেলস থেকে শুরু হয়, অলিম্পিক টর্চ র্যালি। যা অলিম্পিকের অন্যতম সেরা ঐতিহ্য।
অলিম্পিক টর্চ কি?
প্রথা অনুযায়ী অলিম্পিক শুরুর আগে সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রদক্ষিণ করে এই মশাল। এই শিখার যাত্রা শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এদিন স্টেডিয়ামের চুড়ায় অলিম্পিক মশাল প্রজ্বলন করা হয়। এর পর ১৪ দিন ধরে তা জ্বলতে থাকে । নেভানো হয় অলিম্পিকের শেষ দিন।
এই মশাল প্রজ্বলনের পেছনে রয়েছে বহু প্রাচীন ইতিহাস ও পৌরাণিক কাহিনী। যুগযুগ ধরে পৃথিবী আধুনিক হলেও, এই প্রথা এখনও বিদ্যমান। ইতিহাস ও পুরাণ অনুযায়ী, আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে পশ্চিম গ্রীসের অলিম্পিয়া নামক স্থানে প্রাচীন অলিম্পিকের সূচনা হয়েছিল। সেখানে ঘন্টা খানেকের একটি অনুষ্ঠানে সূর্যের আলো ব্যবহার করে আগুন জ্বালানো হয় মাটিতে রাখা একটি অবতল আয়না থেকে । সূর্যের আলো আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে এমন তাপের সৃষ্টি করে যা থেকে মশাল জ্বালানো যায়।এরপর তা থেকে জ্বালানো হয় আরেকটি অলিম্পিক মশাল – যা তুলে দেয়া হয় একজন ক্রীড়াবিদের হাতে।
প্রাচীন অলিম্পিকে মশাল দৌড়ের প্রচলন থাকলেও,আধুনিক অলিম্পিকের শুরুতেই সেই সংস্কৃতি উধাও হয়ে যায়। ১৯২৮ সাল থেকে অলিম্পিক মশাল পুনরায় চালু হলেও, ছিলনা মশাল দৌড়ের কোনও ব্যাপারই। এই মশাল দৌড় শুরু হয় নাত্সী জমানায়। উনিশশো ছত্রিশ সালে বার্লিন অলিম্পিকে নাৎসি জোসেফ গোয়েবলসের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় অলিম্পিকে মশাল দৌড়। গ্রীস থেকে মশাল বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে পৌঁছয় বার্লিনে।গ্রীস থেকে বার্লিন-দীর্ঘ তিন হাজার একশো সাতাশি কিলোমিটার পথ তিন হাজার তিনশো একত্রিশ জন দৌড়বীরের হাত ধরে পৌঁছয় অলিম্পিকের মূল স্টেডিয়ামে।পরবর্তীতে অলিম্পিক মশাল দৌড় শুধুমাত্র স্থলপথে নয়,জলপথে এমনকি আকাশপথেও পৌঁছেছে বিভিন্ন দেশে।
অলিম্পিকের রেওয়াজ অনুযায়ী আয়োজক দেশের মূল স্টেডিয়ামে মশাল দৌড়ের শেষে অলিম্পিক কলড্রন বা বিশাল কড়াইয়ের মত অলিম্পিক মশালের আধারে আগুন জ্বালান বিখ্যাত কোনও ক্রীড়াবিদ ।