যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইফোন নিয়ে গোটা বিশ্বের আগ্রহ বরাবরই থাকে তুঙ্গে। গত বছর আইফোন ১৩ সিরিজ বাজারে আসার পর থেকেই পরবর্তী সিরিজের অপেক্ষায় ছিল সবাই।আইফোন ১৪ সিরিজে রয়েছে ৪টি মডেল। সেগুলো হলো- আইফোন ১৪, আইফোন ১৪ প্লাস, আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স। আইফোন ১৩ সিরিজের সঙ্গে অনেকটাই মিল থাকলেও নতুন মডেলগুলোয় বেশ কিছু চমকপ্রদ ফিচার যোগ করা হয়েছে।
আইফোনের নতুন সিরিজের মডেলগুলোতে থাকছে না সিম ট্রে, পরিবর্তে থাকবে ই-সিম ব্যবহারের সুবিধা। । ইন্টারনেট বা সেলুলার সংযোগ বিহীন অঞ্চলে জরুরি যোগাযোগের জন্য থাকবে স্যাটেলাইট সংযোগের সুযোগ। এছাড়া, কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে, অজ্ঞান হয়ে গেলে কিংবা আইফোন খুঁজে না পেলে সমাধান হিসেবে রয়েছে ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচার। তবে এই ফিচারগুলো আগামী নভেম্বরের আগে চালু হবে না।
আইফোন ১৩ মডেলে প্রথমবারের মতো এ-১৫ বায়োনিক প্রসেসর চিপ ব্যবহৃত হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আইফোন ১৪ এবং আইফোন ১৪ প্লাস মডেলেও একই চিপসেট ব্যবহৃত হয়েছে। ৬.১ ইঞ্চি এবং ৬.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লেবিশিষ্ট যথাক্রমে আইফোন ১৪ এবং আইফোন ১৪ প্লাস মডেলে চার্জও আগের তুলনায় বেশি সময় থাকবে।
নতুন আইফোন সিরিজের মডেল দুটির ক্যামেরায়ও নতুনত্ব থাকছে। নিখুঁত ছবি তুলতে ১২ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরার সঙ্গে এবার নতুন প্রো ক্যামেরা সিস্টেম যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি কম আলোতে ভালো ছবি তোলার জন্য সহায়ক হিসেবে থাকছে কোয়াড পিক্সেল সেন্সর ও ফটোনিক ইঞ্জিন। এছাড়া, মডেল দুটিতে রয়েছে ৫জি সুবিধাও।
অন্যদিকে, ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লেবিশিষ্ট আইফোন ১৪ প্রো এবং ৬.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মডেলে থাকবে নতুন এ-১৬ বায়োনিক চিপ। নতুন নোটিফিকশেন হিসেবে ডায়নামিক আইল্যান্ড দেখানো মডেল দুটিতে থাকবে স্টেইনলেস স্টিলের কেইস। এছাড়া, দুটি হাই-পারফর্মেন্স কোর এবং দুটি হাই এফিশিয়েন্সি কোর সংবলিত ছয় কোরের সিপিইউর পাশাপাশি থাকবে ১৬ কোরের নিউরাল ইঞ্জিন এবং পাঁচ কোরের জিপিইউ।
ছবি তোলার জন্য আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মডেলে কোয়াড-পিক্সেল সেন্সরসহ থাকছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা। সেই সঙ্গে থাকবে ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা ও ১২ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ক্যামেরাও। তাছাড়া, দুটি মডেলেই নতুনত্ব নিয়ে আসা ফিচারের মধ্যে রয়েছে মেশিন লার্নিং এবং ফটোগ্রাফি মোডও।