ঢাকা(১৬জুন): শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে “স্কিলস এন্ড ইনোভেশন টু বিল্ড স্মার্ট বাংলাদেশ: আইডিইবি এন্ড এডব্লিউডিএস” শীর্ষক এক আলোচনায় সভার ব্যবস্থা করা হয়।
এইসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশের যে রূপকল্প প্রধানমন্ত্রী জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন, সেটি বাস্তবায়নে প্রযুক্তিজ্ঞানের পাশাপাশি আমাদের চিন্তা চেতনায়ও স্মার্ট হতে হবে।
তিনি আরও বলেন,প্রযুক্তি কখনো নিজ থেকে প্রয়োগ হয় না, সেটি মানুষের মাধ্যমে চালিত হয়। যিনি প্রযুক্তি ব্যবহার বা প্রয়োগ করবেন, তার মাঝে দেশপ্রেম, মানবিক দর্শন ও সভ্যতাকেন্দ্রিক কল্যাণ না থাকলে প্রযুক্তির সুফল কখনো ভোগ করা সম্ভব নয়। বরং, অপপ্রয়োগে প্রযুক্তি মানুষ ও সভ্যতার জন্য বুরেংমার হতে পারে।
নৌপরিবহন সচিব বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের পাশাপাশি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের তরুণদের ক্লাউড কম্পিউটিং, মেশিনলার্নিং, রোবটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আইডিইবি’র কর্মপ্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।
আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে আলোচনা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আলী আকবর খান। স্বাগম বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান। এছাড়া, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস বিশেষজ্ঞগণ বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্যে আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান বলেন, এই দ্বি-পাক্ষিক সহায়তার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত বৈশ্বিক কর্মবাজার ও অ্যামাজনের ব্যাপক কর্মক্ষেত্রে পলিটেকনিক গ্রাজুয়েটগণ প্রবেশ করতে পারবে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বৈদেশিক মুদ্রা যোগানে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, আইডইবি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়ক সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।
স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা এগিয়ে নিতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস যৌথভাবে “Dhaka Cloud Collaboration Day: IDEB AWS” উদযাপনের দিনব্যাপী কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে একাধিক কর্মাধিবেশনে পলিসি ডায়ালগ, ওরিয়েন্টেশন, প্রশিক্ষণ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।কর্মসূচিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বাছাইকৃত ২২টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ, শিক্ষক/প্রশিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা গ্রাজুয়েটসহ প্রায় তিন শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।