ঢাকা (১৭ সেপ্টেম্বর) : এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১ দেশের বাণিজ্য জোট কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপে (সিপিটিপিপি) যোগ দিতে আবেদন করেছে চীন।
বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী দেমিয়েন ও’কোনোরের কাছে এই আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত বছরের নভেম্বরে বলেছিলেন, সিপিটিপিপি জোটে যোগদানের বিষয়টি বেইজিং আগ্রহ সহকারে বিবেচনা করে দেখবে। বার্তাং সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়ে লিখেছে, দৃশ্যত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় চীন সিপিটিপিপিতে যোগ দিতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে।
সিপিটিপিপিতে যোগ দিতে বেইজিংয়ের এমন আবেদনের পর বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন জোটটিতে যোগ দিলে এই অঞ্চলে তাদের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারের পথ সুগম হবে। বেইজিংয়ের আধিপত্য ঠেকাতে বারাক ওবামার আমলে যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম এই বাণিজ্য জোটের উদ্যোগ নিয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
জাপানের নেতৃত্বে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিপিটিপিপি কার্যকর হয়। জাপান ছাড়াও এই মুক্ত বাণিজ্য জোটে রয়েছে আরও দশটি দেশ। দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, মেক্সিকো, চিলি এবং পেরু।
সিপিটিপিপি হওয়ার আগে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি নামে পরিচিত এই জোটকে চীনের আঞ্চলিক প্রভাব ঠেকানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি মনে করা হতো। জোটের সভাপতি জাপান বলেছে, চীনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাকি সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জোটে যোগ দিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনের আবেদনের পর জোট সভাপতি জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন বিষয়ক মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি বলেছেন, চীনকে সদস্যপদ দেওয়ার আগে জোটের পক্ষ থেকে সিপিটিপিপির কঠোর বিধিমালা মেনে চলতে বেইজিং প্রস্তুত কি না, তা আগে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
নিশিমুরা ইয়াসুতোশি বলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, মেধা সম্পদ ও বিনিয়োগের সুরক্ষা, সরকারি ক্রয়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংস্থা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত পদক্ষেপ এবং ই-কমার্সের মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুব উচ্চমানের কঠোর বিধিমালা অনুসরণের শর্ত রয়েছে সিপিটিপিপিতে।