ঢাকা (১৪ ডিসেম্বর): বাংলাদেশকে ৪০ লাখেরও বেশি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
গতকাল সোমবার যুক্তরাজ্য থেকে এই টিকার প্রথম চালান ১দেশে এসেছে। ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কোভ্যাক্স মেকানিজমের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য এই টিকা সহায়তা দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস অতিমারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই ও দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করতে যুক্তরাজ্যের এই ভ্যাকসিন অনুদান বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার চার মিলিয়ন ডোজ আসাকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ অতিমারির কারণে কঠিন সময় পার করেছে। এই অতিমারি থেকে আরও উত্তম, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধবভাবে উত্তরণে আমরা উভয়ই একসঙ্গে কাজ করছি।
বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের এই টিকা অনুদান দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান ব্রিট বাংলা বন্ধনের একটি শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। মানুষের জীবন বাঁচাতে ও অতিমারি মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য যা প্রয়োজন যুক্তরাজ্য তা অবশ্যই করবে।
করোনা ভাইরাস অতিমারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রস্তুতে সহায়তা করার জন্য ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে।
বিশ্বব্যাপী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অর্ধ বিলিয়নের বেশি ডোজ অলাভজনক মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, যার দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু করে যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে টিকার চাহিদা মেটাতে মোট ৫৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করে। এই কোভ্যাক্স স্কিমটি ৮৩টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশসহ ১৩৭টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ১৫২ মিলিয়নেরও বেশি টিকার ডোজ সরবরাহ করেছে। প্রাথমিক ভ্যাকসিনের শতকরা ৬৫ ভাগ ডোজ অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ১.৮ বিলিয়ন টিকা সরবরাহ করা।