ঢাকা (১০ ফেব্রুয়ারি): ফিরোজা হক, দুই দশক আগে যিনি ছিলেন একজন শিক্ষিকা ও সংস্কৃতিকর্মী সময়ের পরিবর্তনে ফলে আজ তিনি হয়ে উঠলেন উদ্যোক্তা।এছাড়া তিনি দেশের অসহায় মেয়েদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ নেন ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
ফিরোজা হক ছিলেন সাভারের বিপিএটিসি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা। শিক্ষকতার পাশাপাশি একদিকে যেমন শ্রেনী কক্ষে ছাত্র ছাত্রীদেরকে অন্য দিকে সহকর্মীদের সাথে বিভিন্ন গল্প আর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে সবাইকে আনন্দিত করতেন ।এছাড়াও তরুরী ফিরোজা ছিলেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) মহিলা ক্লাবের বারবার নির্বাচিত সফল সাধারণ সম্পাদক। বয়স্কদের শিক্ষা কার্যক্রমসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে ছিল তার সরব উপস্থিতি।
সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা স্বামী অকালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। তার সন্তানদের তখনও তাদের পড়াশোনা শেষ হয়নি। তখন অনেক পরিচিত মানুষও হয়ে উঠেন অপরিচিত। তবে প্রবল আত্নবিশ্বাসী ও আত্নমর্যাদাবোধ সম্পন্ন ফিরোজা ভেঙে না পড়ে তার দুই সন্তান ড. একেএম এহসানুল হক ও মেয়ে ড. ফারহানা হককে নিয়ে পাড়ি জমান ব্রুনাই দারুসসালাম। দুই সন্তান সেখানে থেকে সর্বোচ্চ সাফল্যের সঙ্গে নিজেদের পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
বিদেশে অবস্থান করা ফিরোজা সেই সময় স্বপ্ন দেখতে থাকেন নিজ দেশের মেয়েদের তার মতো করে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার।আর সেজন্যই অনেক অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ নেন। তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। নিজেও নেন উদ্যোক্তা তৈরির নানা প্রশিক্ষণ।তিনি এখন নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি কবিতাও লেখেন।
ফিরোজা হক জানান, ‘আসছে ১২ ফেব্রুয়ারী আমরা উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের, ১৮ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়িতে ‘পঞ্চব্যাঞ্জন’ নামের একটি খাবার দোকানের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি।সেখানে আমারা এক সাথে পাঁচজন নারী মিলেই এই দোকানটা চালাবো। সেখানে সব খাবার হাতে তৈরি করা হবে। খাবারের গুনগত মান থাকবে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
আমি আশা করি আমাদের দেখে আরো অনেক নারী উদ্যোক্তা হতে সাহস পাবে এবং সমাজে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী ও সচ্ছল মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে।