ঢাকা (৫ অক্টোবর) : বিশ্বজুড়ে অক্টোবরের ৫ তারিখ পালন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষকরা যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতেই দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষক সমিতি থেকে নানা কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ইত্যাদি। ইউনেসকো এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘শিক্ষকগণ শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে’।
শিক্ষকদের অধিকার, করণীয় ও মর্যাদা সুরক্ষায় ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৪৫টি সুপারিশ গৃহীত হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে শিক্ষকদের মৌলিক ও অব্যাহত প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, দায়িত্ব ও অধিকার, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা অন্যতম।
পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ অনুমোদন করে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম অনুষ্ঠানে ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। এরপর ১৯৯৫ সালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষকরা দিবসটি উদযাপন করেন।
এ দিকে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো) আয়োজিত ‘শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জহুরুল হোসেন চৌধুরী’ হলে বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম,এ, মান্নান, বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। ‘বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামে’র সভাপতি প্রিন্সিপাল মো. মাইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী-৪ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রিন্সিপাল মো. মশিউর রহমান মৃধা এবং সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন আলহাজ্ব নুরুল হুদা মূকুট।
অন্য দিকে, বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ (বিপিসি)। সম্মেলনে শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, শিক্ষা সার্ভিস কমিশন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্তি করাসহ নয় দফা দাবি জানানো হয়েছে।