ঢাকা (১৭ ডিসেম্বর): সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে ডাল ও মুরগির দাম। অন্যদিকে বাজারে কমেছে পেঁয়াজ-রসুন, আলু ও সবজির দাম। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র ওঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, সিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, শীতের মৌসুমে সবজির দাম কমছে। এখন বাজারে সবজির সরবরাহ ও আমদানি ভালো আছে।
এদিকে বাজারে কমেছে আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকা। এছাড়া দাম কমে নতুন আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৭০ টাকা।
কালশী বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সাহাদাত হোসেন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ভালো থাকায় দাম কমছে। এছাড়াও কমেছে রসুনের দাম। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে এসব বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের রসুন বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বলেন, আমদানি বেড়েছে বলেই দাম কমেছে আদা ও রসুনের।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে দেশি ডালের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি ডালের কেজি ১০০ টাকা ছিল। ইন্ডিয়ান ডাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ১৫ টাকা দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, সরকারি ছুটি ও বিজয় দিবসের কারণে মুরগির দাম বেড়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকায় মুরগির দাম বাড়তির দিকে।