ঢাকা(১৫ সেপ্টেম্বর): কর ফাঁকি রোধ ও আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা আনতে করদাতাদের রিটার্নের সঙ্গে জমা দেওয়া অডিট রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বলেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
মঙ্গলবার(১৪ সেপ্টেম্বর) ছয়খাতে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে শীর্ষ করদাতার সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হিসাবের স্বচ্ছতা কাম্য আপনাদের কাছ থেকে। আমরা আশা করব সব ক্ষেত্রেই আপনাদের স্বচ্ছতা থাকবে। যতো বেশি স্বচ্ছতা হবে ততো বেশি করহার কমবে। ততো বেশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, গত আগস্টে আমরা ডাটাবেজ সিস্টেমে অডিট রিপোর্ট সাবমিটের একটা অ্যাপ চালু করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা এক্সসেপ্ট করেছে। এটা ব্যবহারে ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে ডিসিপ্লিন আসবে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, করদাতারা সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়াতে সহযোগিতা করেছেন। সরকার তাদের জন্য সেবার অবকাঠামো তৈরি করে। সেবার আওতায় অবকাঠামোর সুবিধা পান আপনারা যারা বিজনেস করেন। এটা আপনাদের সার্ভিস চার্জ আবার ইনভেস্টমেন্টও। যত বেশি ট্যাক্স দেবেন ততো বেশি সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, করোনার বছর ২০২০ সালে আপনাদের গ্রোথ মাইনাস টু পয়েন্ট সামথিং ছিল। কিন্তু এই বছর আপনাদের গ্রোথ বাড়ছে। এত অর্জনের পরেও আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও অনেক কম। এটা ১০ পার্সেন্টের নিচে। এনবিআরে অটোমেশন হলেও ট্যাক্সের আওতা বাড়লে আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়বে। ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে কন্ট্রিবিউশন বাড়াতে ব্যাংকগুলোর গভর্ন্যান্স সিস্টেমে জোর দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
পরে তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ ব্যক্তির হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। সম্মাননা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ব্যাংকিং খাতে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ, দ্য হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, আল আরাফাই ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, এক্সপার্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ও দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড।
সেবা ও অন্যান্য- খাতে গ্রামীণফোন লিমিটেড, এম জে এল বাংলাদেশ লিমিটেড ও শেভরন বাংলাদেশ ব্লক থার্টিন অ্যান্ড ফোর্টিন লিমিটেড, নন-ব্যাংকিং খাতে- আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ইনফ্রাক্টাচার ডেভেলপেমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। বিমা খাতে আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ও জীবন বীমা করপোরেশন। উৎসকর কর্তনকারী প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ ব্যাংক, গ্রামীণফোন লিমিটেড ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, শেখ আকিজ উদ্দিন লিমিটেড, উত্তর মোটরস লিমিটেড, উত্তরা অটোমোবাইল লিমিটেড, পারফ্যাক্ট টোব্যাকো লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড।