নিত্যপণ্যের বাজারে তেমন কোনো সুখবর নেই। আবারও বেড়েছে আদা, রসুন, ডিম ও কিছু সবজির দাম। প্রতি ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ১০ টাকা, আদা ও রসুনের দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ৪০ টাকা এবং কিছু সবজির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
গরিবের প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডিম। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে মাছ, মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণে ঢাকায় বসবাসকারী ব্যাচেলরদের অনেক বড় একটি অংশ ডিম খেয়ে থাকেন। কিন্তু বাজারের দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিমে আবারও ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও মহল্লার দোকানগুলোতে ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতারা বলছেন, মুরগির খাদ্যের দাম ও গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি এবং চাহিদানুযায়ী বাজারে ডিমের সরবরাহ কম তাই ডিমের দাম বেড়েছে।
এদিকে, বাজারে কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আবার কিছু সবজির দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, মাসের শুরুতে চাহিদা বেশি থাকে বিক্রিও বেশি তাই দাম বেড়েছে।
বেশ কিছু সবজির দাম বাড়লেও বাজারে আলু, পেঁয়াজর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। চীনা আদা ও রসুনের দাম বৃদ্ধিতে দেশি আদা, রসুনের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে দেশি আদা ও রসুন কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে।
অপরদিকে, বাজারে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি আগের বর্ধিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে চিনির দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে নির্ধারিত দামে চিনি মিলছে না। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন দামের চিনি এখনো কোম্পানিগুলো দিচ্ছে না, তাই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মুরগির দামের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়।
বিভিন্ন ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজার করতে হচ্ছে। সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। আবার অনেক ক্রেতা বলছেন এলাকার তুলনায় কারওয়ান বাজারে দাম কম।
গত কয়েক মাসে নিত্যপণ্যের বাজারে বড় কোনো সুখবর নেই। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে বৈশ্বিক পণ্যবাজারে দামের উত্তাপ ছড়াতে থাকে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। এতে কয়েক দফা নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আবার দু-একটি বাদে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে একটি জায়গায় স্থির হয়ে আছে। কমার লক্ষণ নেই। তাই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধমুখীতে খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।