সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

মামলা থেকে খালাস পেয়ে অঝোরে কাঁদলেন মির্জা আব্বাস

অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস দম্পতি

ঢাকা(২৯ আগষ্ট): গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আমার পরিবার ধ্বংস করে দিয়েছে। যে যেখানেই থাকুক আল্লাহর বিচার থেকে কেউ রক্ষা পাবেনা। দুই মামলায় খালাস পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা পৃথক দুই মামলা খেকে খালাস পেয়েছেন মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার পৃথক দুইটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তাকে খালাস প্রদান করেন। এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মির্জা আফরোজাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আপনারা বিচারপতি মানিকের অবস্থা দেখেছেন। কোরআনে আছে, আল্লাহ তালা যাকে বেজ্জতি করেন সেটা দেখিয়ে দেন। আমি মহৎ ব্যক্তি না, জীবনের বিনিময়ে কাউকে ক্ষমা করতে পারবো না। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে চাই।

মির্জা আব্বাসকে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় খালাস প্রদান করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে খালাস প্রদান করেন। এ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে খালাস প্রদান করেন। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন, বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও স্ত্রী মির্জা আফরোজাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এসময় আসামিপক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ পরিচালক মো. শফিউল আলম।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে ২৪ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Email
Print

সম্পর্কিত

রামগতি ও কমল নগরে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

রামগতি ও কমল নগরে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ঢাকা(৮ সেপ্টেম্বর): লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় বন্যা দূর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন লায়ন্স ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশ৷ গতকাল...

চালু হচ্ছে কমলনগর গর্ব নামে সম্মাননা পুরস্কার

চালু হচ্ছে কমলনগর গর্ব নামে সম্মাননা পুরস্কার

ঢাকা(১০জুলাই): লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় 'কমলনগরের গর্ব' নামে সম্মাননা পুরস্কার চালু করার উদ্বেগ নিয়েছে সানরাইজ ক্লাব ও কমলনগর যুব ওয়ারিয়রস...

অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ

অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ

ঢাকা(৯এপ্রিল): লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সানরাইজ ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী অসহায় অসুস্থ মানুষদের মাঝে প্রথম পযায়ে ১০টি হুইলচেয়ার বিতরণ...