অক্টোবর ১৮, ২০২৪ ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

তাপমাত্রা বাড়লে বরেন্দ্র অঞ্চলের খরা দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে

মাকসুদ কামাল

গঢাকা(০৫ নভেম্বর): গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পিআইবি কনফারেন্স রুমে নয়টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতায় শুরু হওয়া কর্মশালাটি চলে শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত।এতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ১২টি মডিউলে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে যে খরা হচ্ছে তা ক্রমান্বয়ে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। এতে খাদ্যনিরাপত্তায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।

পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কর্মশালার প্রধান সমন্বয়কারী, ক্যাপস এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

আসন্ন কপ২৮-এর সংবাদ গ্রহণের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর আয়োজনে ‘জার্নালিজম ইন দ্য এজ অব ক্লাইমেট অ্যাকশন : কপ২৮ কভারেজ স্ট্র্যাটিজিকস অ্যান্ড মেনটরিং’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে বিগত জলবায়ু সম্মেলনগুলোয় (কপ) আলোচনা হলেও ফান্ড নিয়ে তেমন কোনো কথা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা বাড়ছে ও কোথাও কমছে। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গ্রিন ইন্ডাস্ট্রির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তার জন্য যে অর্থায়ন প্রয়োজন তা কে দেবে? বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সপ্তম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি রাখতে পারলে দুর্যোগে ক্ষতি কম হবে।’

মাকসুদ কামাল আরও বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দাবিদার দেশটি আমাদের নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই আমরা বসবাস করি না কেন ধনী দেশগুলো যদি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোয় ক্ষতিপূরণ না  দেয় তাহলে কোনো লাভ হবে না। আর এজন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রবাহের বিপ্লব।’

তিনি বলেন, ‘কপে অনেক কথা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ক্ষতিপূরণ পায় না। কেননা ড্যামেজের কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। কোন দেশের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বা হচ্ছে তা নির্ধারণ না হলে কীভাবে অর্থ পাবে?’

জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপসহ বিগত জলবায়ু সম্মেলনগুলোয় অনেক কথা বলা হয়েছে কিন্তু ফল শূন্য। আসন্ন দুবাই সম্মেলন যাতে এ অবস্থায় না পড়ে তা খেয়াল রাখতে হবে।’

রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘পরিবেশের ক্ষতির ভুক্তভোগী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ শুরুর দিকে। আমরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে আছি।’

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সিপিআরডির মো. শামসুজ্জোহা প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহযোগী আয়োজক হিসেবে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (সিথ্রিইআর), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ, লিগ্যাল বি, লিগ্যাল ফোরাম বাংলাদেশ, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (ন্যাকম), পরিবেশ উদ্যোগ, সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (এসএসিসিজেএফ) ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Email
Print

সম্পর্কিত

রামগতি ও কমল নগরে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

রামগতি ও কমল নগরে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ঢাকা(৮ সেপ্টেম্বর): লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় বন্যা দূর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন লায়ন্স ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশ৷ গতকাল...