ঢাকা (৬ ডিসেম্বর) : গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর)। গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। সে সময় তিনি অস্থায়ী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। আর মুক্তি পায় গণতন্ত্র।
প্রতি বছর আওয়ামী লীগ এই দিনটি ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে। আর বিএনপি দিনটি পালন করে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে গণতন্ত্রের অতন্ত্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নব্বই পরবর্তী তিন দশকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমাদের সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও সক্রিয় এবং নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আসুন, গণতন্ত্র ও দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করি এবং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
এর আগে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটসহ বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর টানা আন্দোলনের মুখে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরশাদবিরোধী সেই আন্দোলনে ডা. শামসুল আলম খান মিলন, নূর হোসেনসহ অনেককে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মারা যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ।