ঢাকা(১৮ সেপ্টেম্বর): গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডা. মোঃ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিন এবং সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ডা. ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত থেকে সম্মিলনী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে মূল আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রি কনফারেন্স অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে রেনাটা লিমিটেড। অনুষ্ঠান শুরুর আগে একটি প্রি-কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে মানবদেহের থাইরয়েড রোগ নিয়ে আলোচনা এবং একটি ট্রেনিং সেশনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০ জনের মত ডাক্তার অংশগ্রহণ করে।
প্রফেসর ডা. মোঃ. দেলোয়ার হোসেন সেশনে অংশ নেয়া ডাক্তারদের থাইরয়েড আল্ট্রাসাউন্স নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেন। এরপর ডাক্তাররা উল্লেখিত থাইরয়েড আল্ট্রসাউন্ড বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে ডাক্তারদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ডা. মোঃ. ফরিদ উদ্দিন ও প্রফেসর ডা. মোঃ. দেলোয়ার হোসেন ।
এসময় তিনি বলেন, এ প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ডাক্তাররা মানব কল্যাণে ব্যয় করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডা. মোঃ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রথমেই উপস্থিত এন্ডক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, আমাদের এসব ডাক্তাররা অত্যন্ত কঠিন ও জটিল বিষয়ের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
তিনি ডাক্তারদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, রোগীর সাথে বিস্তারিত কথা বলতে হবে। খুটিয়ে খুটিয়ে রোগীর সব সমস্যা জেনে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন তিনি। যদিও এখন বিজ্ঞান এবং টেকনোলজির অনেক উন্নতি সাধিত হওয়ার এ চিকিৎসার পরীক্ষা নিরীক্ষায় অনেক গতি এসেছে। ডায়াবেটিক চিকিৎসায় ধর্মের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য তিনি সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, মানবদেহের বহু রোগের জন্য ডায়াবেটিক দায়ী। এসব জটিল রোগ নিয়ে যারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের সাফল্য কামনা করেন তিনি। শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাক্তারদের উদ্দেশে বলা একটি কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রোগীকে নয় রোগের চিকিৎসা করেন’।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিন তার বক্তব্যে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলেন। ডায়াবেটিক রোগ ও রোগের চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেন। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে এই বিষয় অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
এসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডক্রিনোলজিস্ট এন্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ডা. ফরিদ উদ্দিন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের এন্ডক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্টদের নিয়ে কথা বলেন। বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান অজর্নের উপর তিনি জোর দেন। এন্ডক্রিনোলজির খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য ডাক্তারদের আহবান করেন। সংগঠনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, কোন বড় কিছু একা করা সম্ভব না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বড় কিছু করতে হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা ডাক্তারির এই বিশেষ শাখায় সেবা প্রদান করছে তাদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা ছিলো এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। এছাড়া ডাক্তাররা যাতে এই বিষয়ে বিভিন্ন সেমিনার কনফারেন্সে অংশ গ্রহণ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। এতে তারা আরও জানবে এবং তাদের ক্যারিয়ার আরও উজ্জ্বল হবে। এছাড়া এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডক্রিনোলজিস্ট এন্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর ডা. মোঃ: রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধক্য প্রফেসর ড. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার, গবেষক এবং ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে এক জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংগীত শিল্পীদের পাশাপাশি ডাক্তাররাও গান পরিবেশন করেন।
১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সংগঠনের মূল আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূল অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতার অন্যতম অংশীদার হিসাবে থাকবে রেনাটা লিমিটেড।