ঢাকা (0৮ ডিসেম্বর): বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু,উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতাসির আল জেমি, শামীম বিল্লাহ, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, এএসএম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যে পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন—বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না,ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ হোসেন ও মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ।