ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫ ৫:৩০ অপরাহ্ণ

ঢাকায় প্রথমবারের মত দুইদিন ব্যাপী ফুড এজেন্ডা

ঢাকা(১২জুন): খাদ্য নিরাপত্তার চেয়েও বেশি জরুরি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে গতকাল রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে “ঢাকা ফুড এজেন্ডা ২০৪১ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আরবান ফুড ফিউচারস: এশিয়ান পারস্পেক্টিভস”শীর্ষক এক সম্মেলনের মাধ্যমে এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। যা শহরের বাসিন্দাদের পর্যাপ্ত, নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং খাদ্য সরবরাহ করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কাজ করবে।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, মো. তাজুল ইসলাম, এমপি। সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মো. আতিকুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন,তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু আমাদের এমন একটি সংবিধান দিয়েছেন যেখানে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য মৌলিক চাহিদা, যেমন খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, আশ্রয় ও বাসস্থান সবকিছুর দিকনির্দেশনা রয়েছে। সেই পথনকশা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী জনগণের নিরাপদ খাবারের সংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছেন। মানসম্মত নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।

চারটি সিটি কর্পোরেশন নিয়ে গঠিত (ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর) ঢাকা বিশ্বের অন্যান্য শহরের মতোই সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ শহরে খাদ্যের চাহিদা এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সামর্থ্যের মধ্যে এখন অনেক ব্যবধান রয়েছে।

ঢাকা ফুড এজেন্ডা ২০৪১ একটি খাদ্য ব্যবস্থা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এজেন্ডাটি নীতিনির্ধারণ এবং নগর পরিকল্পনাকে সহায়তা করবে, যা জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলনের জাতীয় লক্ষ্যের সাথে এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নীতি এবং পরিকল্পনার পরিপূরক – বিশেষ করে বাংলাদেশ ২০২১-২০৪১ এর পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত। সরকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং একাডেমিয়াসহ ১০০ টিরও বেশি সংস্থা ঢাকা ফুড এজেন্ডা প্রস্তুতে জড়িত ছিল।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেছেন- “ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষ বসবাস করে। তাদের স্বাস্থ্য এবং পৃথিবীর স্বার্থেই খাদ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার জন্য, বাংলাদেশের অন্যান্য শহরের জন্য এবং আন্তর্জাতিকভাবেও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, একটি নতুন পদ্ধতির সাথে যা বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এবং ভবিষ্যতের দিকে নজর দেয়।”

ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান বলেন, “আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ যুগান্তকারী নথিটি তৈরি করতে বিভিন্ন সেক্টরের অবদানকারীকে একত্রিত করতে পেরে গর্বিত। এটি ঢাকার খাদ্যের ভবিষ্যত গঠনের ক্ষমতা রাখে – লক্ষ লক্ষ মানুষ যা খাচ্ছে, সেই খাবারকে সম্ভাব্যভাবে প্রভাবিত করে। আমরা বিশ্বাস করি যে এটি ইতিবাচক, অগ্রসর চিন্তাশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নীতি প্রণয়নে অনুপ্রেরণা দেবে।”

ঢাকা ফুড এজেন্ডা ২০৪১ হচ্ছে একটি খাদ্য ব্যবস্থা পদ্ধতির  উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। খাদ্য ব্যবস্থা নীতিগত সিদ্ধান্ত, জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থা, খাদ্য সরবরাহ, এবং ব্যক্তি ও গোষ্ঠী যা আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করে।

 

 

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Email
Print

সম্পর্কিত

৭ম বাংলাদেশ মার্কেটিং-ডে অনুষ্ঠিত

৭ম বাংলাদেশ মার্কেটিং-ডে অনুষ্ঠিত

ঢাকা(১৯ অক্টোবর): ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ৭ম বাংলাদেশ মার্কেটিং-ডে। গতকাল ১৮ অক্টোবর ঢাকায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বর্ণাঢ্য আয়োজনের...