বিয়ের দিনে ছুরিকাঘাতে রংপুরের বদরগঞ্জে মাদরাসাছাত্রী তারমিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের ঘটানার কারণ বলেছে আসামি শাখাওয়াত হোসেন।
আজ মঙ্গলবার আসামি শাখাওয়াত হোসেন (১৮) পুলিশকে জানান, আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল ছুরি দিয়ে তার হাতে হালকা ভাবে কোপ দিয়ে দুর্নাম রটিয়ে বিয়ে ভাঙে দেওয়া। কিন্তু ঘটনার সময় ক্ষোভের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় উপর্যুপরি আঘাত করি।তবে কিভাবে তাকে একের পর কুপিয়েছি তা আর বলতে পারছি না।
২৯ জুলাই শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তারমিনার মামা নূর আলম মামলা দায়ের করেন। সোমবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে পলাতক শাখাওয়াত হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা এলাকার পশ্চিম বড়বালার মোনায়েম হোসেনের ছেলে।
আরও জানা যায়, তারমিনার দূর সম্পর্কের আত্মীয় শাখাওয়াত। তিনি বিভিন্ন সময় তারমিনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তবে বাবা-মা ২৮ জুলাই অন্যত্র তারমিনার বিয়ে ঠিক করেন। এর জেরেই ওইদিন সকাল তারমিনার বাড়িতে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেন শাখাওয়াত। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারমিনা।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের যৌথ অভিযানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।