ঢাকা(২৮ অক্টোবর): রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে গতকাল শুক্রবার ১৭তম আন্তর্জাতিক সার্জিক্যাল কংগ্রেসের উদ্বোধন করা হয়। কংগ্রেস সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এম.পি।২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী কংগ্রেস চলবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ক্যানসার, কিডনি, হার্টের মতো জটিল রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের স্বীকার করতে হবে, এ রোগগুলো চিকিৎসায় এখনো পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশে তৈরি হয়নি। এসব রোগ চিকিৎসার আধুনিক সুযোগ তৈরি না করলে রোগীদের বিদেশ যাত্রা থামানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন,এ ছাড়া রোগীদের আস্থার সংকট রয়েছে। আস্থার পরিবেশটি তৈরি করতে হবে। এটি তৈরি করতে পারলে রোগীরা আমাদের কাছে আসবে। আর তারা যদি ভয় পায়, তাহলে তারা দেশে চিকিৎসা করবে না।
জাহিদ মালিক বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে খুবই অল্পসংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছিল। বর্তমানে দেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজারের মতো চিকিৎসক রয়েছে। নার্সের সংখ্যাও বেড়ে প্রায় ২০ গুণ। একসময় কোনো ওষুধ দেশে উৎপাদন হতো না। এখন শতকরা ৯৯ শতাংশ নিজেরাই জোগান দিচ্ছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২৫ বছর আগে বিএসএমএমইউ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে সব ধরনের সার্জারি সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও তৈরি করা হচ্ছে। এর পরও কিছু মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের সার্জারি খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি মেডিসিনের কিংবদন্তি চিকিৎসক ও গবেষক সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক রিদওয়ান আহমেদসহ দেশে সার্জিক্যাল সেবায় অবদান রাখা চিকিৎসকদের স্মরণ করেন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চিকিৎসক নিরাপত্তা আইন পাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা পাশ করার তাগিদ দেন।