ঢাকা ( ২৮ অক্টোবর ) : নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরিসহ যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানের বার্ষিক ফিটনেস হালনাগাদ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তিনটি বেসরকারি সংগঠন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানকে আইনের আওতায় আনতে অবিলম্বে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সংগঠন তিনটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এবং উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল।
গত পাঁচ বছরে সংঘটিত সব নৌদুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার সকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে পদ্মা নদীতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গাড়িবোঝাই ফেরি ‘শাহ আমানত’ কাত হয়ে যায়। এতে ফেরিতে থাকা ১৪টি কাভার্ডভ্যান, ১০-১২টি মোটরসাইকেল পানিতে পড়ে যায়। এ ঘটনাকে নৌ-নিরাপত্তা ও জনবান্ধব আধুনিক নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অন্তরায় উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) বছরের পর বছর যেভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন ফেরি পরিচালনা করে আসছে তা শুধু দুঃখজনকই নয়; রীতিমতো আইন ও বিধিবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।
একইভাবে নৌখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়েও এসব ফেরির বিরুদ্ধে এতদিন কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ অবহেলা ও গাফিলতির জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে সারাদেশে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।