ঢাকা (২২ সেপ্টেম্বর) : বিভিন্ন অভিযানে হোটেল ও রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের জরিমানা করায় ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। জরিমানার টাকা দিতে দেরি হওয়ায় মালিক ও কর্মচারীদের জেলে যেতে হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার এসব অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। এসময় বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়।
রামপুরার আল কাদেরিয়া হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে না পারায় হোটেলের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম রনিকে জেলে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টের মালিক ও বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি’র প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন জানায়, আমরা সব নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছি। নয়টি লাইসেন্স লাগে, সবই আছে। আর ডিসি অফিস থেকে যে লাইসেন্স নিতে হয় তার জন্যও ২০১৭ সালে আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
এ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যেসব ডকুমেন্ট দিতে বলা হয় তা অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব। জমির মূল দলিলের মতো ডকুমেন্ট ভাড়া করা বিল্ডিংয়ে পাওয়া খুবই কঠিন। এ বিষয়টি ডিসি অফিস অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে চায় না। ঢাকা শহরে এখন এক শতাংশ রেস্তোরাতেও ডিসি অফিসের লাইসেন্স নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রফিকুল হক জানান, বাংলাদেশ হোটেল-রেস্তোরাঁ আইন-২০১৪ অনুযায়ী ৩০ আসনের বেশি কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁ লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করতে পারবে না। লাইসেন্স না থাকলে দুই লাখ টাকা এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে।